ডেস্ক নিউজ: একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমিটির সংবাদ সম্মেলনবিদ্যমান মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় এখনও ৬০-৭০ শতাংশ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা রয়ে গেছে। বিএনপি-জামায়াত আমলের তালিকাভুক্ত হয়েছিলেন তারা। এছাড়া তালিকাভুক্ত হওয়ার অপেক্ষায় থাকা দেড় লাখ মুক্তিযোদ্ধার ৯৯ শতাংশই ভুয়া। সোমবার (৩০ এপ্রিল) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আবীর আহাদ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘এসব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের কারণে আজ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারাও চরম হতাশা ও উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন। এদের কারণে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাবমূর্তি আজ ধুলায় মিশে গেছে। এরা একদিকে বীরত্বের ভাগ বসাচ্ছেন, অন্যদিকে জনগণের অর্থ অবৈধভাবে ভোগ করছেন। যারা এদেরকে মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছে তাদেরসহ এসব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিচার বিশেষ ট্রাইব্যুনালে করার দাবি জানাচ্ছি।’
আবীর আহাদ বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য যে জাতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধাদের নাম গন্ধ নেই। এটা আমাদের জন্য অপমান। জাতীয় সংবিধানে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃতি না থাকায় এ দুটি প্রসঙ্গে নানা অপপ্রচার, কটূক্তি ও অপমানজনক মন্তব্য বিভিন্ন সময় বিশেষ মহল থেকে করা হয়েছে।
সম্প্রতি কোটা বিরোধী আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘মেধাবী নামধারী সুশীল যুব ছাত্র সমাজ কোটার বিরোধিতার সুযোগ নিয়ে যেভাবে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের ওপর বিষাদগার করেছেন, এটা সম্ভব হয়েছে সংবিধান মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি নেই বলে। ফলে তারা ফ্রি স্টাইলে যা তা বলার সাহস পেয়েছে সংবিধান দ্বারাই শব্দ দু’টি সুরক্ষিত থাকলে ওই সব বিষাদগার হতো রাষ্ট্রদ্রোহিতা।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সদস্য সচিব আবুল বাসার, যুগ্ন আহ্বায়ক রুস্তম আলী প্রমুখ।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন